ছাত্র – ছাত্রীদের জন্য অবশ্যই পালণীয়
ছাত্র-ছাত্রীদের জ্ঞাতব্য বিষয়
¨ অনুসরণীয় নিয়ম-শৃঙ্খলা এবং বিধি নিষেধঃ
১। কলেজে উপস্থিতিঃ
ক) বোর্ড ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মোতাবেক চুড়ান্ত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীকে প্রতি বিষয়ে মোট অনুষ্ঠিত ক্লাসের অন্যূন ৭৫% ক্লাসে উপস্থিতি থাকতে হবে।
খ) ক্লাসে উপস্থিতি মোট অনুষ্ঠিত ক্লাসের ৬০% এর উপরে কিন্তু ৭৫% এর নীচে থাকলে নন-কলেজিয়েট হিসেবে গণ্য করা হবে। এ সব ছাত্র-ছাত্রী নিদিষ্ট হারে জরিমানা প্রদান করে বোর্ড ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চুড়ান্ত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে।
গ) কোন ছাত্র-ছাত্রীর ক্লাসে উপস্থিতি মোট অনুষ্ঠিত ক্লাসের ৬০% এর নীচে থাকলে ডিস-কলেজিয়েট হিসেবে গণ্য হবে এবং বোর্ড ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মোতাবেক চুড়ান্ত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না।
ঘ) প্রতি বছর ফাইনাল/টার্ম পরীক্ষার আগে উপস্থিতি হিসাব করা হবে এবং প্রয়োজনীয় সংখ্যক উপস্থিতি না থাকলে ফলাফল স্থগিত রাখা হবে।
২। ওরিয়েন্টশন ক্লাশঃ
কলেজের প্রতিটি শ্রেণীতে ভতিকৃত নতুন ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য শিক্ষা বছরের শুরুতে পরিচিতিমুলক (Orientation) ক্লাসের ব্যবস্থা আছে। উক্ত ক্লাসে সকল ছাত্র-ছাত্রীর জন্য উপস্থিতি বাধ্যতামুলক।
৩। কলেজের নিধারিত পোশাকঃ
কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য নিধারিত পোশাক আছে। কোন ছাত্র-ছাত্রী কলেজের নিধারিত পোশাক পরিধান করে না আসলে তাকে ক্লাসে করতে দেয়া হবে না।
Þ ছাত্রদের নিধারিত পোশাকঃ সাদা শাট ও কাল/ নেভী ব্লু রঙের প্যান্ট।
Þ অনার্স ছাত্রদের নিধারিত পোশাকঃ স্কাই ব্লু শাট ও কালো প্যান্ট
Þ ছাত্রীদের জন্য নিধারিত পোশাকঃ থ্রী কোয়াটার/ ফুল হাতা হাটু পযন্ত সাদা এপ্রোন এবং সাদা ওড়না।
৪। কলেজের নিয়ম-শৃঙ্খলাঃ
ক) কলেজের নিয়ম-শৃঙ্খলা ও শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার স্বাথে সপ্তাহের প্রতিদিনের জন্য একটি করে ভিজিল্যান্স টীম রয়েছে। টীমের সদস্যগণ শ্রেণী কক্ষসমূহে নিধারিত ক্লাসগুলো ঠিকমত হচ্ছে কিনা এবং ছাত্র-ছাত্রীরা ক্লাসে সময়মত উপস্থিত থাকছে কিনা, তা লক্ষ্য রাখেন। এছাড়া কলেজ চলাকালে কলেজ চত্বরে বা কলেজ গেটের সম্মুখে যাতে কোন অনভিপ্রেত ও অনাকাঙ্খিত ঘটনা না ঘটতে পরে তাঁরা সে দিকেও তীক্ষ দৃষ্টি রাখেন।
খ) কলেজ ক্যাম্পাসে যদি কোন ছাত্র/ছাত্রীকে শৃঙ্খলা বিরোধী কোন কাজে দেখা যায় তাহলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
৫। পরিচয়পত্রঃ
প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীকে কলেজ অফিস থেকে সরবরাহকৃত পরিচয়পত্র অবশ্যই সঙ্গে রাখতে হবে।
৬। বিভিন্ন ফিসঃ
প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীকে তাদের দেয়া বিভিন্ন ফিস কলেজ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ঘোষিত নিদিষ্ট তারিখে কলেজের হিসাব শাখা হতে রশিদ সংগ্রহ পূবক রূপালী ব্যাংক লি: পটিয়া শাখায় জমা করতে হবে।
৭। কাউন্সেলিং ব্যবস্থাঃ
উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য কাউন্সেলিং ব্যবস্থা রয়েছে। প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীর জন্য কলেজের একজন শিক্ষক কাউন্সেলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন, তিনি ছাত্র বা ছাত্রীর পড়াশুনার অগ্রগতির প্রতি দৃষ্টি রাখেন এবং তার যে কোন প্রকার অভাব-অভিযোগ বা সমস্যা থাকলে তা সমাধানে সচেষ্ট থাকেন।
৮। বার্ষিক /নির্বাচনী পরীক্ষার ফলাফল বিবেচনাঃ
ক) একাদশ শ্রেণীর বাষিক পরীক্ষার ফলাফল গ্রেডিং সিস্টেম(জিপিএ) প্রকাশ করা হয়। যে সকল ছাত্র-ছাত্রী ন্যূনতম জিপিএ ১.০০ প্রাপ্ত হবে, শুধুমাত্র তারাই দ্বাদশ শ্রেণীতে উত্তীণ হবে।
খ) পূর্ণ পাঠ্যসূচীর উপর ভিত্তি করে দ্বাদশ শ্রেণী এবং ১ম, ২য় ও ৩য় বষে ডিগ্রী পাস কোর্সের নির্বাচনী পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে চুড়ান্ত পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত করা হবে।
৯। কলেজের অভ্যন্তরীণ পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনঃ
কলেজের অভ্যন্তরীণ যে কোন পরীক্ষায় কোন ছাত্র-ছাত্রী অসদুপায় অবলম্বনের জন্য অভিযুক্ত হলে তাকে কলেজ থেকে বহিস্কার করা হবে।
১০। পরীক্ষার নম্বর ফর্দ ও ক্লাসে উপস্থিতি অভিভাবকের নিকট প্রেরণঃ
কলেজের অভ্যন্তরীণ সব পরীক্ষার নম্বর ফর্দ ও ক্লাসে উপস্থিতি বিবরণী প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীর অভিভাবকের নিকট সংম্লিষ্ট কাউন্সেলের মাধ্যমে প্রেরণ করা হবে।
১১। অভিভাবকের সঙ্গে মত বিনিময় সভাঃ
বিজ্ঞপ্তি দ্বারা সঙ্গে ছাত্র-ছাত্রীদের মাধ্যমে অভিভাবকদের সঙ্গে মত-বিনিময় সভার নির্ধারিত তারিখ যথাসময়ে জানানো হবে।